তরুণ বয়সে লৈঙ্গিক বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন মার্কিন পপ তারকা বিলি আইলিশ। কটু কথা শুনেছেন এই পপশিল্পী। এমনকি তাঁকে এমন কিছু পাঠানো হয়েছিল, যা দেখে সত্যিই তাঁর মনটা ভেঙে যায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই কথা শেয়ার করেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি তাঁর পোশাকের ধরন পাল্টে ফেলেছেন। সাধারণত যে পোশাকে তাঁকে দেখা যেত, তার বাইরে একটু খোলামেলা পোশাকে হাজির হয়েছিলেন এই সংগীতশিল্পী। তাতেই খেপেছেন নেটিজেনরা। তবে এবার লৈঙ্গিক বৈষম্য ইস্যুতে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন পপশিল্পী ম্যাডোনা।
পশ্চিমা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি কতটা পুরুষতান্ত্রিক এবং নারী শিল্পীরা কতটা বৈষম্যের শিকার, তারই বয়ান তুলে ধরেন এই পপ আইকন। তাঁর ভাষায়, ‘সমস্যা হলো, এখনো আমরা মারাত্মকভাবে লৈঙ্গিক বৈষম্যে ভরা পৃথিবীতে বাস করি। যেখানে নারীদের আলাদা শ্রেণি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।’
এই পপ তারকা আরও বলেন, ‘নারীরা নিজেদের যেভাবে দেখাতে চান, সেভাবে দেখানোর সুযোগ থাকা উচিত। যদি বিলি পুরুষ হতো, কেউ তাকে নিয়ে লিখত না। একজন পুরুষ তার ক্যারিয়ারের প্রথম তিন বছর খুব সেজেগুজে স্যুট আর টাই পরে থাকে। আর পরের মাস থেকেই সে পরতে পারে রাজপুত্রের পোশাক কিংবা মিক জ্যাগারের মতো শার্ট খুলতে পারে, আইলাইনার লাগাতে পারে, কেউ কিছু বলতে পারে না।’
পোশাক নিয়ে বিলি হরহামেশাই ট্রলের শিকার হন। এবারের মেট গালাতে তিনি হাজির হয়েছিলেন ডিজনি রাজকুমারীদের মতো গাউন পরে। তাঁকে দেখতে মনে হয়েছিল যেন মেরিলিন মনরো। এ নিয়েও তাঁকে কটাক্ষ শুনতে হয়। বিলি আইলিশের পোশাকের নিজস্ব একটা ধরন ছিল। সেভাবে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন দর্শক। কিন্তু সম্প্রতি তিনি সেই ধরন পাল্টে ফেলেছেন। তার চেয়ে একটু আবেদনময়ী ও খোলামেলা পোশাকে দেখা গেছে তাঁকে। আর তাতেই খেপেছেন ভক্তরা। এমনকি ইনস্টাগ্রাম থেকে এক লাখ ভক্ত উধাও। বিলি নিজেই জানিয়েছেন সেটা।
তবে নিন্দুকেরা যে যা–ই বলুক। বিলি নিজের কাজটা করেন মনোযোগ দিয়েই। গত বছর গ্র্যামির আসরে ইতিহাস গড়েছিলেন। একই তুলে নিয়েছিলেন চারটি পুরস্কার। সেরা চার ক্যাটাগরি—সেরা নতুন শিল্পী, সেরা গান, সেরা রেকর্ড আর সেরা অ্যালবাম জিতে নিয়েছিলেন বিলি আইলিশ।